ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে অর্থ নেয়ার অভিযোগে ১ জন গ্রেফতার

মো. আব্দুস সালাম , নাটোর থেকে
চাকুরী প্রার্থীদের সরলতার সুযোগে ভুয়া নিয়োগ পত্র প্রদান করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ১ জন গ্রেফতার ।
গত ২৬ নভেম্বর সকালে সিপিসি-(নাটোর), র‌্যাব-৫ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় শ্যামনগর সাতক্ষীরার  মৃত কোবাত আলীর ছেলে মোঃ শাহিন আলম (২৭) এবং হরিপুর ঠাকুরগাঁও এর  মোঃ তাজমুল হকের ছেলে মোঃ নাসিম (২১) এর অভিযোগের ভিত্তিতে আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ  হোসেন এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে  স্থানীয় স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের আলামত দুটি পেইনড্রাইভ (যাহার মধ্যে বিভিন্ন ভুয়া নিয়োগপত্রের সফট্কপি রক্ষিত), বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ১৬ টি, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ৭ টি, এনআইডি কার্ড ৩ টি (যাহার ভিতরে একটি ভুয়া), চাকুরী দানের চুক্তিনামা ষ্ট্যাম্প ৩ টি, জুডিশিয়ার ষ্ট্যাম্প ১২ টি, অর্থ লেনদেনের রেজিষ্টার ০৮ টি, ভুয়া নিয়োগপত্র ০২টি, ভুয়া আইডি কার্ড ফটোকপি করণিক ১ টি, মোবাইল ২ টি, সীমকার্ড ৪ টি, প্রতারণালব্ধ নগদ ৫৮ হাজার ১৪০ টাকা এবং ৮০০ ভারতীয় রুপি উদ্ধারপূর্বক মনিরুলকে নিজ বাড়ী হতে আটক করা হয়।
মনিরুল ইসলাম নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার নন্দিকুজা দয়রামপুরের মোঃ কফির উদ্দিনের ছেলে।
র‌্যাব ও স্থানীয়  সূত্রে জানা যায় মোঃ মনিরুল ইসলাম এইচএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। সে পেশায় একজন ঔষধ বিক্রেতা হলেও নিজেকে সেনাবাহিনীর সিএমএইচ, ঢাকায় করণিক পদে কর্মরত আছে বলে পরিচয় দিত। উক্ত পরিচয় ব্যবহার করে সৈনিক, অফিস সহায়ক, মেসওয়েটার, স্টোরম্যান পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে চাকুরী প্রার্থীদের সরলতার সুযোগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট তারিখ ও অফিসে যোগদান করতে যাওয়ার পর বুঝতে পারে। মনিরুল প্রতারণার কাজে ব্যবহারের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজ নাম পরিবর্তন করে মোঃ চাঁন মন্ডল পরিচয় ধারন করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয় স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে মনিরুল অভিযোগকারী মোঃ শাহিন আলম ও মোঃ নাসিমসহ নিয়োগপত্র  প্রত্যাশীর বিভিন্ন জেলার প্রায় ৬০/৭০ জনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করে। (১) ডএিমপি এর ভাষানটকে থানার এফআইআরনং-২৪/১৭১, তারখি- ২৭আগস্ট, ২০১৭; ধারা- ১৭০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০/৪০৬/৫০৬পনোলকোড-১৮৬০; এবং (২) ডএিমপি এর শরেবোংলা নগর থানার এফআইআরনং-১৮/২২০, তারখি- ২০জুলাই, ২০১৭; ধারা- ৩৬৫/৩৮৫/৩৮৬/৩৪পনোল কোড-১৮৬০; থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে সে কথাও স্বীকার করেন তিনি।
গ্রেফতারকৃত মনিরুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Comments