শফিক কে শাহেদ বানিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে চরিত্র হননের প্রতিকার চান নেতাকর্মিরা

শফিক কে শাহেদ বানিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে চরিত্র হননের প্রতিকার চান নেতাকর্মিরা

আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটের শফিককে শাহেদ বানিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে চরিত্র হননের প্রতিকার চেয়েছেন বর্তমান সরকার দলীয় নেতাকর্মিরা।

এক শ্রেণীর অসাধু মহল মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্যে ত্যাগী ও নিবেদিত রাজনৈতিক নেতা কর্মিদের চরিত্র হননের জন্য ব্যাংঙের ছাতার মতো অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলো গজিয়ে তুলেছে।

ভূয়া কিছু অনলাইন পোর্টালের হলুদ সাংবাদিকদের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা প্রতিহিংসা মূলকভাবে নিজ দলের নেতাকর্মীদের চরিত্র হননের খেলায় মেতে উঠেছে এবং অহরহ এরকম কান্ড ঘটিয়ে  চলেছে।

অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও  প্রতিপক্ষরা ভুয়া ও ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অনলাইন পোর্টালগুলোতে কথিত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রোপ্রাগন্ডা চালিয়ে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধিদের চরিত্র হনন করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার খেলায় মেতে উঠেছে।

এরা কারা, এর পিছনে কে বা কারা? ভাবিয়ে তুলছে সকলকে?

কথিত এসব হলুদ সাংবাদিকদের সাথে আতাত করে অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে কাওকে পাপিয়া, কাউকে শাহেদ, কাওকে ক্যাসিনো অমুক, ভূমি দস্যু তমুক' আখ্যা দিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে সারাদেশে এমন এক নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।

এ থেকে প্রতিকারের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

সম্প্রতি এমন কিছু পরিস্থিতি লক্ষ্য করে নেতারাকর্মিরা এর প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন।

মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে নামে-বেনামে গড়ে ওঠা অনিবন্ধিত ব্যাঙের ছাতার মতো কিছু অনলাইন পত্রিকা বা পোর্টালগুলোতে প্রতিপক্ষরা প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করতে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করে চরিত্র হননের খেলায় মেতে উঠেছে।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় যথাযথ সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি জোরদার করা উচিত বলে দাবি করেছেন অনেকে। মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশ করা পোর্টালগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা আরও জানান ডিজিটাল বাংলাদেশে, অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ সুবিধা নিয়ে এক শ্রেণীর প্রতারকচক্র নামধারী সাংবাদিক ও অনলাইন প্লার্টফম ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের চরিত্র হননের খেলায় মেতে উঠেছে। এদের টাগের্ট থেকে বাদ যাচ্ছে না সরকারের মন্ত্রী, আমলা, দলের এমপি, নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অনেকে।

সম্প্রতি কে বা কারা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে চরিত্র হনন করেছে।

হলুদ সাংবাদিকতা তথা মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করে তাকে রিজেন্টের মালিক ও কথিত আওয়ামীলীগ নেতা 'শাহেদ' এর সাথে তুলনা করে সংবাদ পরিবেশন করায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে শফিকসহ তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্খী আওয়ামীলীগ নেতারা। 

বর্তমান সরকার দলীয় স্থানীয় নেতারা বলেন, শফিক ২০০২ সাল থেকে জয়পুরহাটের তার নিজ উপজেলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরপর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।

তাকে মূহুর্তেই কাউয়া হাইব্রিড বানিয়ে দিয়ে 'শাহেদ' হিসাবে তূলনা করে মিথ্যা বানোয়াট অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা ঠিক হয়নি।

এবিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী মোল্লা বলেন, শফিক আমার ছোট ভাইয়ের মতো পাশে থেকে মতিহারের সবুজ চত্ত্বরে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে। সে আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী।

তার কর্মকান্ড, নেতৃত্বগুণ ও যোগ্যতা দিয়ে সে সৈয়দ আমির আলী হলের আহ্বায়ক কমিটির নেতা ছিল। দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রলীগ করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তার চরিত্র হনন করা হয় তাহলে এটা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। এর প্রতিকার ও পরিত্রাণের উপায় খুজে বের করা জরুরি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু বলেন, আমাদের সময়ে শফিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং সৈয়দ আমীর আলী হল শাখার ছাত্রলীগের নেতা ছিল।

এবিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, আওয়ামীলীগ তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শীঘ্রই আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনী ও সরকার সংশ্লিষ্টদের সাথে পরামর্শ করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কায়কোবাদ মাস্টার বলেন, শফিকের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় শফিককে ছোটবেলা থেকেই  চিনি এবং জানি। স্কুল জীবন থেকেই তাকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিং করতে দেখেছি।

তৎকালীন ক্ষেতলাল উপজেলার ছাত্রলীগের  সভাপতি রুবেল হোসেন বলেন, ২০০২ সালে শফিক আমার কমিটির মেয়াদে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। তাকে আমরা ছোটবেলা থেকেই ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে পেয়েছি ।

এদিকে তৎকালীন জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকেই শফিক আমাদের পরিচিত ছিল। সে ছাত্রলীগের একজন নিবেদতি কর্মী ছিল।

ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন শফিক ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শফিক আমার কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।


Comments