শিক্ষার্থীর প্রাপ্য মার্ক দিতে হবে, শিক্ষা ক্ষেত্র কে স্বচ্ছ করুন

" Editorial "

শিক্ষার্থীর প্রাপ্য মার্ক দিতে হবে 

শিক্ষা ক্ষেত্র কে স্বচ্ছ করুন


পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা কম নম্বর পেয়ে যখন কিছু শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে ঠিক সেই মুহূর্তে কিছু শিক্ষার্থী বোর্ড চ্যালেন্জ করার সিদ্ধান্ত নেয় সঠিক মার্ক পাওয়ার আশায়। সি গ্রেড প্রাপ্য কিছু শিক্ষার্থী এ গ্রেড পেয়ে ঠিক একই মুহূর্তে মিষ্টির দোকানের কর্মচারীর মাথা ফাটায় কম মিষ্টি দোকানে থাকায়। অকৃতকার্য, আত্মহত্যা করা, বোর্ড চ্যালেন্জ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া শিক্ষার্থীদের গালি-গালাজ করা শিক্ষকদের চেহারা তখন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উজ্জ্বল হয়ে উঠে। 

বিনিউজও এর রিপোর্টে উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারী বাঙলা কলেজের কিছু শিক্ষার্থীর পরীক্ষার সময় নির্মম ভোগান্তি।বিনিউজও এর রিসার্স অনুযায়ী(2009-2021), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত 7 কলেজের পরীক্ষার রেজাল্ট চ্যালেন্জ করার ক্ষমতা শিক্ষার্থীদের থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র খাতায় দেওয়া মার্ক গণনা করে। শুধুমাত্র খাতায় দেওয়া মার্ক গণনা করায় রেজাল্ট চ্যালেন্জ করা শিক্ষার্থীদের রেজাল্টের পরিবর্তন হচ্ছে না বললেই চলে। দরিদ্র পাশ করার যোগ্য শিক্ষার্থীরা তাই রেজাল্ট চ্যালেন্জ করছে না। তাই শিক্ষার্থীর পরীক্ষার রেজাল্ট চ্যালেন্জ করার ক্ষমতা প্রকৃত পক্ষে মূল্যহীন বিষয়। তাছারা ক্লাস না নেওয়ার কারনে মেধাবী  শিক্ষার্থীরা নিজ চেষ্টায় অধ্যায়নের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দেয়। অমেধাবী শিক্ষার্থীরা এই অবস্থায় নকল করে পরীক্ষায় অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর দেয়। শিক্ষকগণ পরীক্ষার খাতায় অল্প মার্ক দেয়। তাই পাশ মার্কের সঠিক উত্তর দেওয়া শিক্ষার্থীরাও অকৃতকার্য হচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী নকল করে পাস করায় শিক্ষা ক্ষেত্র দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ক্লাস না নেওয়ার কারনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত 7 কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ক্রেডিট সিস্টেম হওয়ায় ক্লাস না নিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দেওয়া সম্পূর্ণ ক্রেডিট সিস্টেম বিরোধী। এই পরিস্থিতির শীকার হয়ে সরকারী বাঙলা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের 2009-10 সেশনের 3 জন মেধাবী শিক্ষার্থী এখনো অনার্স পাশ রেজাল্ট পায় নাই। 

স্বাধীন সার্বভৌম দেশের শিক্ষা কার্যক্রমে কুলষতা কারো কাম্য নয়। শিক্ষা ক্ষেত্র কে যারা কুলষ বানাতে চাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। পাশা - পাশি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দুরীকরনে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ভোগান্তির শিকার হওয়া শিক্ষার্থীগনের শিক্ষা জীবন বিফলে যাওয়ার হাত থেকে রেহাই পাবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে কুলষতা নিয়ে কোন জাতীর পক্ষে সুস্বপ্ন দেখা বা সফলতা অর্জন করতে চাওয়া নিরর্থক বিষয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দ্রুত যথাযথ ফলাফল দেওয়া দরকার। ভবিষ্যতে কোন শিক্ষার্থী যেন ক্ষতির সমুক্ষীন না হয় সেই ব্যবস্থা করা দরকার। তাই শিক্ষা ক্ষেত্র কে স্বচ্ছ করুন। 

Comments